বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার (১৬জুন) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা কনটিজেন কমান্ডার মো. সাহেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি খুলনা থেকে ছেড়ে আসা দিদার পরিবহনে চট্টগ্রাম যাচ্ছে সেই গাড়িতে সিলিকন জেলযুক্ত চিংড়ি মাছ আছে এ বিষয় নিচ্ছিত হন। পরে শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের নরসিংহপুর ফেরীঘাটে আসলে দিদার পরিবহনে অভিযান চালিয়ে চিংড়ি ভর্তি ১৯ টি ককসেট আটক করা হয় যাহার ওজন প্রায় এক টন। অভিযানের সময় ওই বাসে জেলিযুক্ত চিংড়ি পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কাউকে না পাওয়ায় কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার সাহেদ জানান, ১৯টি ককসিটে প্রায় ১ হাজার কেজি জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়েছে। এ সময় অবৈধ চিংড়ি ব্যবসায়ীরা কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।এ সময় তিনি সিলিকন জেলের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, চিংড়ির দেহে যা পুশ করা হচ্ছে, তাতে ক্রেতারা শুধু ওজনের দিক থেকে ঠকছেন তা নয়। এসব জেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে বড় ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি আরো বলেন,জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ গুলো ভেদরগঞ্জের সখিপুর উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্টেশন লঞ্চঘাটে ভেদরগঞ্জের মৎস্য প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ও স্থানীয় জনসমক্ষে কেরসিন দিয়ে জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ পুরানো হয়। তবে এধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত