শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার বাগানবাড়ি গ্রামের নুপুর আক্তার(২০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। হাটুরিয়া বাগানবাড়ির নুরু গাজীর ছেলে আনোয়ার হোসেন গাজী (২৫) এর নিকট নুপুর আক্তার কে বিবাহ দেন। তাদের ঘরে ১৫ মাসের একমাত্র ছেলে সন্তান রয়েছে নাম আবু রাইহান তাদের বিবাহের বয়স দুবছর।
নিহত নুপুর আক্তারের বাবা আনিচুল গাজী (৪০) জানান যে ১২ ই জানুয়ারী সকাল ৮টার দিকে তার মেয়ে নুপুর আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে বিষ পান করেছেন এ কথা যানানো হয়।।শাররীক অবস্থা অবনতি হলে তাঁর শাশুড়ি, ও খালা শাশুড়ী, স্বামী নিজে তাকে গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সদর হাসপাতালে ১২ টার দিকে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত নুপুর আক্তারের মা খুদেজা বেগম (৪৫) জানান
খবর পেয়ে গোসাইরহাট হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তাঁর মেয়েকে শরীয়তপুর হাসপাতালে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন, পরে তিনি মেয়ের সাথে শরীয়তপুর হাসপাতালের পথে রওনা দেন, সেখানে তাঁর মেয়ে গাড়ির ভিরত থাকা অবস্থায় বলেন যে তাকে তার স্বামী শাশুড়ী এবং খালা শাশুড়ি প্রচণ্ড মারধর করেন। এবং এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার অবস্থা করে ফেলেন পরে সে অজ্ঞান হয়ে যায় তারপর তাকে গোসাইরহাট হাসপাতালে নিয়ে আসেন, তিনি আরও বলেন মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পরে থেকেই অশান্তিতে সংসার করছিল আমার মেয়ে এবং প্রায় সময় তার স্বামী আমাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে থাকেন আমরাও মেয়ের ভালোর জন্য বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দিতাম। তিনি বলেন আমার মেয়ের সংসারে ১৫ মাসের একটি ছেলে সন্তান ছিল। তাই মেয়ের স্বামীর সকল অত্যাচার মেনে ও মেয়েকে বুঝাতাম। আজ আমার মেয়ে লাশ হয়ে আমার বাড়িতে আসলো এই হত্য কান্ডের আমি সঠিক বিচার চাই। খুদেজা বেগম আরো বলেন বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতো। আমাদের বাড়িতে আসলে কান্না কাটি করতেন অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার তার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত সে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় নিহত নুপুর আক্তার এর বাবা আনিসুল বেপারী নিজে বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে গোসাইরহাট থানায় তিন জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ১, নুপুরের স্বামী আনোয়ার গাজী ২ শাশুড়ি সুকুলি বেগম(৪২) স্বামী নুরু গাজী। ৩ লিপি বেগম(৪০) স্বামী জামাল গাজী।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত