সারা দেশে নদীভাঙন রোধে কাজ করছে সরকার : এনামুল হক শামীম
1 min readপানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আগামী বর্ষার আগেই নদীভাঙন রোধে কাজ করছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কোথাও যেন নদীভাঙন না হয়, সে লক্ষ্যে আগে থেকেই কাজ করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী ৪৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। এর সুফল কয়েক বছরের মধ্যে মিলবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারা দেশে নদীভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে তিন হাজার হেক্টরে নেমেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান।
এ কারণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা করোনার সময় এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কর্মীর মতো নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সারা দেশে ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। যে কারণে হাওরের কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। কোনো প্রকল্পের কাজ দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে, সে জন্য নিয়মিত মনিটরিংও হয়।
’কাজের ব্যাপারে কোনো ধরনের গাফিলতি, অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করে এনামুল হক শামীম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সে জন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সংবলিত দেশ গড়তে চান। এ জন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সে জন্য তিনি ডেল্টাপ্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। ফলে সারা দেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।
মহাপরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
এ ছাড়াও ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন শরীয়তপুরের নড়িয়ার নওপাড়ার পানশারা আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসিন এমিলি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) মো. তাহমিদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা সার্কেল) দেওয়ান আইনুল হক, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শাহিদুল আলম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব, মুন্সীগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর পার্থ, নড়িয়ার ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য প্রমুখ।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত