আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী
1 min readবিশেষ প্রতিনিধিঃ
বুধবার সংসদে সম্পূরক প্রশ্ন করার সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীকে তার আনন্দের স্মৃতি বর্ণনা করতে অনুরোধ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটাই ছিল জাতির পিতার লক্ষ্য।
জাতির পিতার লক্ষ্য পূরণ করাই একমাত্র কাজ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকে ভূমিহীন মানুষদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি এবং পুনর্বাসন করে যাচ্ছি। আমরা শুধু ঘর দিয়ে বসে থাকছি না, ঘর দেওয়ার পরে তাদের অর্থ দিচ্ছি, প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আয়ের পথও করে দিচ্ছি। ১৫ আগস্টের পরে যে দুঃখ, কষ্ট, যাতনা ভোগ করতে হয়েছে আমার জীবনে, সেই দুঃখের মধ্য দিয়ে, বোঝা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম বাবার স্বপ্ন পূরণে।
ঘর উপহার দেওয়ার পরে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এটা খুব ভালোভাবে মনিটরিং করে। কার্যালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা প্রায় যাচ্ছেন, তারা কেমন আছেন দেখছেন। দেখে আসার পরে আমাকে ছবি পাঠান। দেখলাম ঘর পাওয়ার পরে মানুষের অনুভূতি। তারা ঠিকানা পেয়েছে, সেই আনন্দে তাদের কান্না, হাসি, বেদনা উপলব্ধি করলাম। সেদিন আমিও…। একটা মানুষ, একটা পরিবার- যারা একটা ঠিকানা পেয়েছে। ঘর পাওয়ার পরে তাদের জীবন পাল্টে গেছে। অভাব, দারিদ্র্য নেই। নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
তিনি বলেন, আমার জীবনে সব থেকে বড় আনন্দের দিন একজন মানুষ, যার কিছু ছিল না, তাকে একটা ঘর দিয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর থেকে বড় আনন্দের কিছু হতে পারে না। সেদিন আনন্দে চোখের পানি রাখতে পারিনি। আমি অঝোরে কেঁদেছিলাম। কারণ এটাই তো আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জলে চোখ ভিজে যায় তাঁর।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। তৃতীয় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৪৭৪টি ঘর দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত