আরেকটি নতুন ফেরিঘাট- জাজিরায়

1 min read

শরীয়তপুর পত্রিকা  প্রতিবেদকঃ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানী থেকে দক্ষিনাঞ্চলের জেলা গুলোতে নিজ নিজ বাড়ির টানে ছুটবে যাত্রিরা। যাত্রিদের ভোগান্তি নিরসন ও সেবা নিশ্চিত করতে মুন্সিগঞ্জ জেলার শিমুলিয়া ও শরীয়তপুর জেলার মাঝির ঘাটে আরো একটি নতুন ফেরি সার্ভিস চালু করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে নতুন ঘাটটি চালু করতে পারবেন বলে দাবী করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবহন টার্মিনাল ইয়ার্ড ও সড়কের অপর্যাপ্ততায় যাত্রি সেবা নয় ভোগান্তি বাড়বে বলে ধারণা করছেন ঘাটের ইজারাদার, পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয়রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বিআইডব্লিউসিএ শরীয়তপুরের জাজিরা অংশের মঙ্গল মাঝির ঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল সরিয়ে সেখানে একটি নতুন ফেরি পন্টুন বসানোর জন্য তরিঘরি করে কাজ করছে। আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ করে ২৮ এপ্রিল থেকে ফেরি চলাচল শুরু করবে সেই টার্মিনালে। এই ফেরি ঘাট চালু হলে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি নিরশণ হবে বলে কর্তৃপক্ষ ধারনা করছেন। গাড়ি পার্কিং ইয়ার্ড ও প্রসস্থ রাস্তা না থাকায় ভোগান্তি চড়মে পৌঁছবে বলে দাবী করছেন স্থানীয় লোকজন, ঘাট ইজারাদার ও পরিবহন শ্রমিকরা।

ফেরিঘাট নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র ম্যানেজার আব্দুল মোতালেব বলেন, আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে নতুন ফেরি ঘাটটি চালু করার লক্ষে কাজ চলছে। আমরা আশাবাদী এতে যানজট নিরশনসহ ঈদে ঘরমুখী মানুষের সেবা নিশ্চিত হবে।

মাঝির ঘাটের ইজারাদার মোখলেছুর রহমান মাদবর বলেন, জেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম শরীয়তপুর-মাঝির ঘাট সড়ক। এই সড়কের গ্রন্থ ১৮ ফুট। ৫ মাস পূর্বে এই সড়কে একটি ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। ফেরিঘাট ঘিরে কোন পার্কিং ইয়ার্ড নাই। একটি ফেরিতে যে গাড়ি পারাপার হয় তাতেই ৩-৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। নতুন করে আরেকটি ফেরি চালু করার পূর্বে সড়ক প্রসস্থ্য ও পার্কিং ইয়ার্ড করা দরকার ছিল। ঈদ ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের গাড়ি ও যাত্রি এই ঘাট দিয়ে পাড় হলে যানজট লেগেই থাকবে। যাত্রি সেবা নয় ভোগান্তি বাড়বে বহুগুন।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.