সখিপুর মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

1 min read

শরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর বেপারী কান্দি শিশু ছাএী(৭) মাদ্রাসার ছাএী কে ধর্ষন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে,সখিপুর পূর্ব তালিকা কান্দি দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার মুফতি আক্তার হোসেন(৩৫) অএ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় ছাএীর মা সাহিদা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শরীয়তপুর মামলা নং-(১১৯/২০২২) করেছেন বলে জানান, ভোক্তভোগী ছাএীর মা।

অভিযুক্ত মুফতি আক্তার হোসেন সখিপুর বতর্মানঃ পূর্ব তালিকা কান্দি ২নং ওয়ার্ড শশুর বাড়িতে থাকেন,স্থানীয় ঠিকানাঃ সাং ইব্রাহিমপুর,থানা+ পোষ্ট, চাঁদপুর, সাহাবুদ্দিন গাজী ছেলে।

ভোক্তভোগি মা সাহিদা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ করি গত ১৯/০৫/২০২২ইং তারিখে। ঘটনা ঘটে ১৮/০৫/২০২২ প্রতি নিয়ত আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটি হয় ১২,৩০মিঃ সময়, শিশু ছাএী (৭) সখিপুর পূর্ব তালিকা কান্দি দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার নার্সারি শ্রেণিতে (সাথে আরবি) পড়ে। ক্লাস করে মাদ্রাসা ছুটির পর মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শিশু ছাএী কে থাকতে বলে, তখন মুফতি আক্তার হোসেন তার অফিস কক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার নাম করে দরজা বন্দ করে দেয় শিশু ছাএী(৭) কে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছোয়া দিয়ে নিজের সেক্স উওেজনার মাধ্যমে শিশু ছাএী(৭) কে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশু ছাএী(৭) চিৎকার দিলে বাড়ির পাশের একই ক্লাসের জুবায়েদ(৮) প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে দরজা ধাক্কা দেয়।তার পর ১০/১৫ মিনিট পর দরজা খুলে দেয়।শিশু ছাএী(৭) কে দশ টাকা দিয়ে কাউকে না বলার জন‍্য, যদি বলিশ তাহলে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিব। শিশু ছাএী(৭) ভয়ে জুবায়েদ কে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়। শিশু ছাএী(৭) ও জুবায়েদ(৮) বাড়িতে পৌঁছে মা সাহিদাকে বিস্তারিত সব খুলে বলেন।
আমাকে এ ব‍্যপারে এলাকার গ‍ন‍্যমান‍্য ব‍্যক্তিগন ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে মুখ বন্দ করার চেষ্টা করেন। আমি আমার শিশু বাচ্চার উপর অমানুষিক যে আচারন করেছে আমি আইনি বিচার চাই। আইন যে বিচার করবে আমি মাথা পেতে নিব।
শিশু ছাএ জুবায়েদ (৮) বলেন, আমি যখন চিৎকার শুনি তখন দৌড়ে আফিস রুমে যাই তখন আমি বার বার দরজা ধাক্কাই কিন্ত দরজা খুলছে না, অবশেষে ১০/১৫ মিনিট পর দরজা খুলে দেয়। আমি দেখতে পেলাম শিশু ছাএী(৭) পেন্ট ভিজা বলতে না বলতে মুফতি আক্তার হোসেন বলেন রুমে ঝাড়ু দেওয়াই তাই পানি লেগেছে। আমারা বাড়িতে এসে শিশু ছাএীর মা সাহিদা কে সব কথা বলে দেই।

সরজমিনে তথ‍্য সংগ্রহের সময় মুফতি আক্তার হোসেন একই ঘটনায় দারুল আকরাম মাদ্রাসা থেকে চাকুরিচুৎত হন।

হেবজো খানার শিক্ষক বলেন, আমি মানুষের মুখে মুখে সুনেছি মুফতি আক্তার হোসেন শিশু ছাএী(৭) কে হাত পা বেধে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে। শিশু ছাএী(৭) বাড়ি থেকে কয়েক জন মহিলারা এসে মুফতি আক্তার হোসেন কে খোজ করলে আমি জিজ্ঞেস করলে বলে আপনাকে বললে চলবে না।তার কিছু পর পরেই সখিপুর থানার পুলিশ আসে আমাকে এবং আমার ওস্তাদ মুফতি আক্তার হোসেন এবং ফকরুল ইসলাম সহ সখিপুর থানায় নিয়ে যায়। থানায় আমাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করেননি শুধু ঐ দুজন কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কিছুক্ষন পর আমাদের কে ছেড়ে দেয়।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার জানান, তাৎক্ষণিক ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। মাদ্রাসা নিয়ে দুই সমাজের মাঝে দন্দ চলে আসছে। তাই বিষটি চক্রান্ত হতে পারে। আমার কাছে মামলা আসলে বিষয়টির যথাযথ ব্যাবস্থা নিবো

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.