শরীয়তপুর জেলার একজন ভুমিহীন প্রতিবন্ধী হালিমার গল্প

1 min read

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

এ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এ এক বদলে যাওয়া জীবনের গল্প এই শিরোনাম দিয়েই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন  ও ক্ষতিগ্রস্তদের ঘর দেয়া শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আশ্রয়ন প্রকল্প- ৩ এর একটি ঘর পেয়েছিলেন ভুমিহীন প্রতিবন্ধী হালিমা খাতুন।

হালিমা খাতুনের এক ছেলে এক মেয়ে, ছেলে ঢাকায় থাকে নিজেদের কোন জায়গা জমি নাই অন্যের জায়গায় মেয়েকে নিয়ে থেকে গ্রামে মানুষের কাছে হাত পেতে জীবন ধারন করতেন।শৌলপড়া ইউনিয়নের আশ্রায়ন প্রকল্পে তার একটি ভুমিসহ ঘর দেওয়া হয়।ঘর পেয়ে হালিমা খাতুন অনেক খুশি।
তার ভাষায় স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে এত সুন্দর একটি বাড়িতে। এখন সন্তানদেরকে প্রতিবেশী কোনো বাসায় রাতে আশ্রয় নেয়ার জন্য যেতে হবে না।হালিমা খাতুনকে প্রশ্ন করা হয় এই যে ঘর এটা কে দিয়েছে জানতে চাইলে তার উত্তর, ‘হাসিনা দিছে বাবা, হাসিনা। আল্লাহ তারে হায়াত বাড়ায় দিক, সবকিছুতে বরকত দিক।’

হালিমা খাতুন আরো বলেন, এই ঘর পাওয়ার মাধ্যমে আমার নতুন ঠিকানা তৈরি হলো। এই ঠিকানাই এখন হবে আমার পরিচিতি। সন্তানদের পরিচিতি। এই ঘর আমাদের কাছে শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয় জীবন বদলে দেয়ার হাতিয়ার। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার তৃপ্তি।
হালিমা খাতুনের মতো আরো বারটি পরিবার আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাস করেন কেহ থাকতো শ্বশুর বাড়ি, আবার কেউ থাকতো রাস্তার পাশে কিন্তু এখন সকলেরই নিজেস্ব ভুমিসহ পাকা বাড়ি রয়েছে। তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন। হালিমা খাতুন তার ঘরের সামনে জেলাপ্রশাসকের দেওয়া একটি কমলা ও একটি পেয়ারা গাছ লাগিয়েছেন। হালিমা খাতুন তার ঘরের চালের উপর বিভিন্ন শাকসবজির জাকা দিয়েছেন এখন তার তরিতরকারি বাজার থেকে কমই ক্রয় করতে হয়।কয়েক দিন পর তার মেয়েকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিবেন যাতে মেয়ে নিজে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, এভাবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সকল অসহায় ভুমিহীনদের ভুমির দলিলসহ পাকা ঘর দিয়ে তাদের জীবনের বাঁক বদল করে দিয়েছেন।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.