ভেদরগঞ্জ উপজেলার মাল বাজারে সাইফুল মালের টর্চারশেল থেকে যুবক উদ্ধার

1 min read

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভেদরগঞ্জ উপজেলা সখিপুরের দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মাল বাজারের পূর্ব পাশে ৬ নং ওয়ার্ডের মজিদ মালের বাড়িতে তারই ছেলে সাইফুল মাল গড়ে তুলেছেন মানুষ নির্যাতনের গোপন টর্চারশেল। এই টর্চারশেলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আঁধারে লোকজনকে ডেকে এনে নির্যাতন করা হতো। সাইফুল এলাকায় একজন দাদন ব্যবসায়ী অর্থাৎ সুদের কারবারি। সাইফুল মাল এলাকায় হেটে হেটে লোকজনকে উচ্চ সুদে টাকা দেয়। সাধারণ মানুষ যখন টাকা দিতে না পারে তখনই সাইফুল মাল কৌশলে তার বাসায় ডেকে নিয়ে টর্চারশেলে ডুকিয়ে শুরু করে অমানবিক নির্যাতন।

এলাকার ৩-৪ জনকে  সাইফুল মাল তার টর্চারশেলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) একই এলাকার সোবহান মাঝির ছেলে আল আমিন মাঝি কে, সাইফুল মাল তার টর্চারশেলে ডেকে নিয়ে সারা রাত আটক রেখে নির্যাতন করে, হাতে পায়ে তালা মেরে ফেলে রাখে। পরে (২০ জানুয়ারী) সকাল বেলা এলাকার লোকজন এসে তাকে সাইফুল মালের টর্চারশেল থেকে হাতে পায়ে তালা মারা অবস্থায় উদ্ধার করে।

সরজমিনে গিয়ে এলাকার সাধারণ লোকজন ও থানার অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মাল বাজারে সাইফুল মালের চায়ের দোকানে আল আমিন মাঝিকে ঘর ক্রয় বাবদ মোস্তফা ঢালী নামক এক ব্যক্তি চারলক্ষ টাকা দেয়। সেই টাকার লোভে সাইফুল মাল আল আমিনকে সু-কৌশলে তার বসত বাড়িতে ডেকে নেয়। আল আমিন সরল মনে ঘর বাবদ চার লক্ষ  টাকা নিয়ে সাইফুল মালের বাড়িতে যায় তারপর সাইফুল মাল ও তার স্ত্রী জোর করে সাইফুলের স্ত্রী হোসনা আক্তারের সাথে উলঙ্গ ছবি তোলে এবং শারীরিক নির্যাতন করে স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্ট্যাম্পে সাক্ষর না করায় সাইফুল মাল আল আমিন মাঝির হাতে পায়ে শিকল দিয়ে তালা মেরে রাখে সারা রাত। আল আমিন মাঝি কে সাইফুল মাল তার বাড়িতে বন্ধি করে রাখে। পরের দিন সকাল বেলা এলাকার ২০-২৫ জন লোক আল আমিন মাঝি কে সাইফুলের বাড়ি থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে, ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এলাকার স্হানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সাইফুল মাল একজন খারাপ লোক এর আগেও কয়েকজন কে তার কথিত টর্চারশেল নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে।

এব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, আমরা থানায় অভিযোগ পেয়েছি, ইতিমধ্যে পুলিশ পাঠিয়ে খোজ খবর নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি, তদন্তের জন্য পুলিশ চলে গেছে।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.