ভেদরগঞ্জ রামভদ্রপুর মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

1 min read

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে একটি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসাটির শিক্ষক মুফতি সাইদুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এমন অভিযোগে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মায়ের দাবী মামলা হওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ওই শিক্ষক’কে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনাটি গত শনিবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কোড়ালতলী এলাকায় কালুমাঝী ইসলামিয়া নূরানী হাফেজী মাদ্রাসায় ও এতিমখানায় ঘটে।

ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই ছাত্রীকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে শিশুটি বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মুফতি মো:সাইদুল ইসলাম (৩২) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারীয়া উপজেলার হরিনপালা গ্রামের মো: মজনু মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে তার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পরে তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ দেখতে পান। মেয়ে বলেছে, মাদ্রাসা থেকে তার হুজুর মুফতি সাইদুল ইসলাম তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে তার মেয়েকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। তিনি আরও বলেন, “হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে খারাপ কাজ করল? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? “কোথায় দিব শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমান, সেই শিক্ষক কীভাবে একাজ করতে পারল? আমি আমার মেয়ের সাথে যে-ই খারাপ কাজ করেছে তার বিচার চাই।”

শিশুটির দাদা আব্দুল লতিফ বেপারী বলেন, “হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার নাতনিকে এই অবস্থা করল? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আহসান হাবিব আমদের কথা না শুনে উল্টো ওই হুজুরের পক্ষে কথা বলে। মামলা উঠিয়ে নিতে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয় অধ্যক্ষ আহসান হাবিব। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। একটা শিশু যেখানে নিরাপদ নয় মানুষ সেখানে কিভাবে পড়তে দিবে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি মো:সাইদুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এবং তাঁর মাদ্রাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।

এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি পলাতক থাকায় এখনো গ্রেফতার করা যায় নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.