৯ ঘণ্টা মেঘনা নদীতে ভেসে থাকার স্মৃতি মনে পড়লেই আঁতকে উঠছেন গোসাইরহাটের জোহরা

1 min read

জোহরা বেগম বর্তমানে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন।

অনলাইন // গোসাইরহাট উপজেলার ঠান্ডাবাজার এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জোহরা বেগম (৩৮) নামের ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি গতকাল বুধবার রাতে গোসাইরহাটের পট্টি লঞ্চঘাট থেকে ঈগল-৩ লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাতে সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কোদালপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে পড়ে যান।

কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, গতকাল রাতে গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্টি লঞ্চঘাট থেকে ঈগল-৩ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন মাইঝারা গ্রামের জহিরুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী জোহরা বেগম ও তাঁদের এক ছেলে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জোহরা বেগম লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান। তখন চাঁদপুরের হাইমচরের কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও গোসাইরহাট থানার পুলিশ ওই নারীকে মেঘনা নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে গতকাল সাড়ে ৯টার দিকে মেঘনা নদীর ঠান্ডাবাজার এলাকার একটি চর থেকে জোহরা বেগমকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

জোহরার স্বজনেরা বলেন, নদী থেকে উদ্ধার করার পর প্রথমে জোহরাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে গতকাল বিকেলে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।

চিকিৎসাধীন জোহরা এখন হাসপাতালের শয্যায় পায়ের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া আর বেঁচে থাকার জন্য দীর্ঘ সময় নদীতে ভেসে থাকার দুঃসহ স্মৃতি মনে করে মাঝেমধ্যে তিনি আঁতকে উঠছেন। কখনো কখনো কাঁদছেন।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.