অনলাইন// গোসাইরহাটে ছোট বোন হামিদাকে বাঁচাতে গিয়ে বড় বোন হাসিবা পানিতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় সাঁতার না জানায় দুই বোনেরই মৃত্যু হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোসাইরহাটের নলমুড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো নলমুড়ি ইউনিয়নের পাঁচকাঠি গ্রামের বারেক চৌধুরীর মেয়ে হাসিবা (৬) ও হামিদা (৩)।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের উঠানে খেলা করছিল দুই বোন। খেলার ফাঁকে ছোট বোন হামিদা সেখানে থাকা একটি ডোবায় পড়ে যায়। হামিদাকে বাঁচাতে বড় বোন হাসিবা পানিতে ঝাঁপ দেয়। সাঁতার না জানায় দুজনই ডুবে যায়।
পরে তাদের পুকুরে ভাসতে দেখেন ওই দুই শিশুর মা-বাবা। তাদের আর্তনাদে এলাকাবাসী এসে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে পানিতে পড়া দুই বাচ্চা নিয়ে আসে। তারা দুই বোন।
হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।’
নলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক মিঞা বলেন, সকালে খেলাধুলা করার সময় ছোট বোন পানিতে ডুবে গেলে বড় বোন তাকে বাঁচাতে যায়। বড় বোন সাঁতার না জানায় দুজনেরই মৃত্যু হয়।
বাবা বারেক চৌধুরী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ের ছয় বছর বয়স। সে সাঁতার জানে না। তারপরও ছোট বোনকে বাঁচাতে পানিতে নেমেছিল। আমাদের সঙ্গে কেন এমন হলো?’
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম সিকদার মুঠোফোনে বলেন, বাড়ির পাশের একটি ডোবার পানিতে ডুবে দুই বোন মারা গেছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক। আজ বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করেছেন স্বজনেরা।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত