শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা

1 min read

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর মৌজায় ৭৮৬ একর জমিতে হবে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।

এ উপলক্ষে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শুক্রবার (১১ মার্চ) চরজালালপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি প্রতিনিধি দল।

জানা যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর এলাকাসহ সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে বেজা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৬ সালে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোসাইরহাটের চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ কাজটি স্থগিত থাকে বেশ কয়েক বছর।

পরবর্তীতে শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসন এবং বে-গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের (শাহজাদা মিঞা) প্রচেষ্টায় পুনরায় এটি বাস্তব রূপ লাভ করতে যাচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করতে শুক্রবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান ও উপ-সচিব মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গোসাইরহাটে আসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশগুপ্ত প্রমুখ।

গোসাইরহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলমগীর হুসাইন জানান, চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক জোন করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চরজালালপুর এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি প্রতিনিধি দল। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে পাল্টে যাবে এখানকার চেহারা।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এমপি নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসন এবং শামসুর রহমানের (শাহজাদা মিঞা) প্রচেষ্টায় গোসাইরহাটের চরে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে তুলতে যাচ্ছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি এখানে গড়ে উঠলে মৎস্য শিল্প, কৃষি শিল্প, চামড়া শিল্প, ফুড প্রসেসিং এবং ট্যুরিস্ট পার্ক গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বেজার যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা জায়গাটি দেখে গেলাম। বিষয়টি যাচাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.