নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শরীয়তপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত হয়েছে।

1 min read

শরীয়তপুর পত্রিকা  প্রতিবেদকঃ

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে শরীয়তপুরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

এর মধ্যে জেলা প্রশাসন, শরীয়তপুর ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শরীয়তপুর জেলা কার্যালয় কর্তৃক একটি বর্ণাঢ্য র্যালি, ট্রাক-শো ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌছিফ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ভোক্তা-অধিকার সংক্রান্ত বেসরকারি সংগঠন ক্যাব ও সিসিএস এর নেতৃবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, শরীয়তপুর জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক জনাব সুজন কাজী। সভায় ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ভোক্তার স্বার্থ সুরক্ষায় করনীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, টিসিবির পণ্য পেতে দীর্ঘ সময় ধাক্কাধাক্কি করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। অনেক সময় উপযুক্ত ব্যাক্তি যে পাওয়ার কথা সে হয়তো পায়-না। যার কারণে কার্ড করে এখন দেয়া হবে টিসিবির পণ্য।

এটা তৃণমূল থেকে ওয়ার্ডের মেম্বার নামের তালিকা দিচ্ছেন, সেটা চেয়ারম্যান দেখে উপজেলা পর্যায়ে পাশ করেন। আমাদের এখানে পাঠালে আমরা ৩টা করে কার্ড করে দিচ্ছি। একটা ভোক্তার কাছে থাকবে, একটা ডিলারের কাছে থাকবে, একটা ট্যাগ অফিসারের কাছে। প্রত্যেকটা কার্ডে ছবি থাকবে। যাতে নকল করতে না পারে। এটি আরেকটি ফিলোসোফি কাল ব্যাপার। যেকোন সমস্যা ২টি ভাবে সেটাকে দমণ করা যায় বা প্রশমণ করা যায়। একটি হচ্ছে আইন প্রয়োগ করা। আরেকটি হচ্ছে সমাজীক ভাবে প্রবলেম টাকে রিভিউস করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সম্পদের যোগান দেয়া। সরকার কিন্তু দুটিই কাজ করছে। একটি হচ্ছে আমাদের তৎপর হতে বলেছেন,এই যে ভোক্তা অধিকার আন্দোলন এটা একটা দিবস পালিত হচ্ছে, আগের চেয়ে আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেট,ইউএনও অনেক বেশী তৎপর রয়েছে। কেউ দ্রব্য মূল্য বেশী দামে বিক্রি করছে কিনা, তেল মজুত করছে কিনা বা অন্যান্য পণয় মজুত করছে কি না। এটা একটি আইনগত প্রকৃয়া। কিন্তু সব সময় শুধু আইন আইনগত প্রকৃয়া দিয়ে সব কিছু দমন করা যায়না। তাই বাজারটাকে চালু রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে আমরা পণ্যটাকে বাজারে ঢুকিয়ে দিচ্ছি ও মানুষের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। এই দুটি প্রকৃয়া এক যখন এক সাথে চালু হবে, তখন আমি বিশ্বাস করি এই দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি তা মিটে যাবে। কেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি। আপনারা জানেন গ্লোবাল ক্রাইসিস। শুধু এটা লোকালি বিবেচনা করা যাবে না। আপনারা সবাই বুঝ মান মানুষ। আপনারা জানেন,যেটা আমাদের দেশে উপাদান হয় না। আমদানি করে আনতে হয়। খুশির খবর হলো আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য আছে। এসময় তিনি উপস্থিত সরকরারি কর্মকর্তা ও শুধিসমাজ সবাইকে সরকারের এই উদ্যোগ গুলোকে মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়ার কথা জানান। তিনি আরও বলেন, একটা ব্যাড প্রোপাগাণ্ডা চলছে। খেয়াল করতে হবে মন্দ প্রপাগাণ্ডা, একটা গ্রুপ আছে, যারা তিলকে তাল করে একটা সরকারের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা করে থাকে। সেই গ্রুপটাকে দমন করতে হবে। আপনাদের ভালো কথা গুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে। আগামী ২০ তারিখে আমরা ইনশাআল্লাহ টিসিবির মালামাল কার্ডধারিদের কাছে পৌঁছে দিব। এরপরও আবারও পৌঁছে দিব। আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের কোন ব্যাক্তি কার্ডের তালিকায় পড়তে পরে। তাহলে আপনাদের স্ব-স্ব ইউএনও সাহেবের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন। ইউনিয়নে যোগাযোগ করবেন। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করবো। ভোক্তা অধিকার আইন আছে তারা মাঝে মাঝেই অভিযান করেন। আমি আবারও বলি, শুধু আইনদ্বারা সবার জন্য এই প্রকৃয়া কঠিন হয়ে যায়। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা খুবই জরুরি। আজকে এই দিবস পালনের উদ্যেশ হচ্ছে তাই। ভোক্তাকে সচেতন করা এবং একই সাথে আমাদের যারা পণ্য ক্রয় করছে তাদের কেউ সতর্ক করা। উভয় পক্ষ সচেতন হলে তবেই সব কিছুর সমাধান মিলবে। ভোক্তাকে সচেতন হতে বলেন পাশাপাশি বিক্রিয় কর্মীরি না। ভোক্তাদের উদ্যেশে বলেন, ভোক্তাদের প্রতিবাদ করার দরকার আছে। আপনাদের কাছ থেকে দ্রব্য মূল্যের দাম বেশী নিলে আপনি আমাদের একটা ফোন দেন। আপনি দাঁড়িয়ে থেকে ডিসি অফিসে লোক পাঠিয়ে আমাকে জানিয়ে দেখেন।আমি তৎক্ষনাৎ ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাবো। সবাই সচেতন হোন। কাউকে না কাউকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আপনারা প্রতিবাদ করেন আমরা আপনাদের পাশে আছি।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.