শরীয়তপুর বিশ্ব পানি দিবস উদযাপন

1 min read

শরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ

শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে শরীয়তপুরে বিশ্ব পানি দিবস উদযাপিত হয়েছে। ৪ এপ্রিল সোমবার সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুরেও বিশ্ব পানি দিবস পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব। বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‍্যালিবের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তৌছিফ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভা মেয়র এ্যাড. পারভেজ রহমান জন, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ব্র্যাক জেলা প্রতিনিধি সমীর কুণ্ডুসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ।

জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, নদীমাতৃক কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নে সঠিক ও পরিকল্পিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বলেন, দেশে ফসল উৎপাদন, সেচ ও গৃহস্থালি কাজে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। মাটির নিচে পানির আধার সুরক্ষা ও পানির গুণাগুণ বজায় রাখতে ভূ-উপরস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির সমন্বিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য সামগ্রিক বিবেচনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

যদিও ভূগর্ভস্থ পানি দৃশ্যমান নয়, কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র বিদ্যমান। ভূগর্ভস্থ পানি আমাদের তরল মিঠা পানির সবচেয়ে বড় উৎস। ভূগর্ভস্থ পানি পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, কৃষিকাজ, শিল্প ও বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখে। এদিকে, মানুষের পানির চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ায় ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিবসে মিঠা পানির গুরুত্বের ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি-৬ অর্জনকে গতিশীল করার প্রয়াস নেওয়া হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য পানি এবং স্যানিটেশন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করাই এসডিজি-৬ এর লক্ষ্য। সারাবিশ্বের ২ বিলিয়ন মানুষ এখনো নিরাপদ পানীয় জলের অভাবে রয়েছেন। ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে আছেন এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.