বাস্তব জীবনে কবিতাংশের ভাবার্থ যেন সত্যি হল আজ- রাহানারা বেগম।
1 min readডেস্ক রিপোর্টঃ”
- একদা ছিলনা জুতা চরণ যুগলে
- দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে”
গল্পের শুরুটা ২২ মার্চ। সকাল থেকে জেলাপ্রশাসক এর কার্যালয়ের সামনে বসে আছেন রাহানারা বেগম। উদ্দেশ্য ডিসি মহোদয়ের কাছ থেকে একটি হুইল চেয়ার পাবার জন্য। পরিদর্শন শেষে দুপুরে জেলাপ্রশাসক অফিসে আসলে অফিসের সামনেই দেখা হয় তার সাথে।
রাহানারা বেগম, জেলা প্রশাসককে সে তার প্রত্যাশার কথা জানান । সাথে সাথে জেলাপ্রশাসক খোঁজ খবর নিয়ে একটি হুইল চেয়ার প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশনা দেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি)কে। কিন্তুু বাঁধ সাধে অন্য জায়গায়। রাহানারার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে! অবশেষে খোঁজাখুঁজির পর (১০এপ্রিল) পাওয়া যায় তাকে।আনুষ্ঠানিকভাবে আজ রাহানারার হাতে একটি হুইল চেয়ার তুলে দেন জেলাপ্রশাসক, মোঃ পারভেজ হাসান।এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।
জন্মলগ্ন থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার রাহানারা। ছোটবেলা থেকে কষ্ট করে বেড়ে উঠেছেন তিনি । দুটি পা না থাকায় খুব কষ্ট করে চলাফেরা করতে হয় তাকে। দুই সন্তানের জননী রাহানারার বসবাস নড়িযার লঞ্চঘাট এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে। কীর্তিনাশা পদ্মার গর্ভে বাড়ী-ঘর হারিয়ে নিঃস হয়ে ঠাঁই এখন মানুষের ভাড়া বাড়ীতে। প্রতিদিনের জীবন সংগ্রামে রাহানারাকে আসতে হয় শরীয়তপুর সদরে। হুইল চেয়ার হাতে পাবার পর দুচোখের আনন্দ অশ্রুই জানান দিচ্ছিল কতটা খুশি সে!!!! কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলাপ্রশাসকের নিকট।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত