নরসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাট দুই মাস ধরে বন্ধ,যাত্রী ভোগান্তি চরমে
1 min readবিশেষ প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের নরসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। ফলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ড্রেজিং করে নাব্যতা সংকট কাটানোর চেষ্টা চলছে। তবে ড্রেজিং হচ্ছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। এতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর, শরীয়তপুর-ঢাকা, নারায়ণগঞ বরিশালের সংঙ্গে নৌরুটে চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
আলুর বাজার ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নাব্যতা না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে লঞ্চঘাট এলাকায় ড্রেজারের পাইপ ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। ফলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।
স্থানীয় মিজান সিকদার বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন এই ঘাট দিয়ে। ড্রেজিং চলায় এ ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। এতে মালামাল লোড-আনলোডেও সমস্যা হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দুই মাসের বেশি আলুবাজার ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। এতে ট্রলারে করে ঘাটের যাত্রীদের মাঝ নদীতে নিয়ে লঞ্চে তুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। শিশু, বয়স্ক ও নারী ভোগান্তিতে পড়ছেন বেশি। নদীর পানি কমে যাওয়ায় ও নাব্যতা সংকট এ পথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘাটের সামনে ড্রেজিং করায় প্রায় দিন ঘাটে সমস্যা লেগেই থাকে। এতে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করে। কখনো কখনো এক দিন বসে থাকতে হয়। নাব্যতার জন্য ড্রেজিং বিলম্বিত হওয়ায় ঘাটে এখন আর লঞ্চ ভিড়ছে না। অপর দিকে ফেরি পারাপার ও ঘাটে সমস্যা থাকায় এ পথে যাত্রী ও গাড়ি সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
নরসিংহপুর ফেরি ঘাটের ইজারদার মোঃ জিতু মিয়া বেপারী বলেন, ‘নাব্যতার জন্য ড্রেজিং চলছে। যাত্রী পারাপার সহজ করতেই ড্রেজিং কিন্তু ড্রেজিংয়ে ধীরগতি থাকায় যাত্রীদের কোনো উপকার হচ্ছে না। প্রায় ২মাস ধরে ঘাটে লঞ্চ আসতে পারে না। এতে যাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যায় পরতে হচ্ছে এবং যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। এই সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আলুরবাজার ফেরিঘাটের ড্রেজিং কাজের তদারককারী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাটির কাটার কাজ শেষ আর কয়েকদিনের ভিতরেই ঘাটে লঞ্চ ভিড়তে পারবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত