1. shikdarbabu088@gmail.com : shariatpur Patrika : shariatpur Patrika
  2. shariatpurpatrika@gmail.com : Online Editor : Online Editor
  3. sohage.mahmud@gmail.com : Smsohage :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুর জেলা আপডেট
শরীয়তপুরের তিনটি আসনে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন শামীম, অপু, নাহিম শরীয়তপুরের তিনটি আসনে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন শামীম, অপু,নাহিম শরীয়তপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ডা. হেলাল উদ্দিন সাবেক আইজিপি শহীদুলের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা ‘বিএনপির নিজেদের নেতৃত্ব নিয়েই সমস্যা, দেশের নেতৃত্ব চাওয়া হাস্যকর : এনামুল হক শামীম সংবিধান মেনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে -জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এনামুল হক শামীম জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  ‘৩-মিনিট আইডিয়া’ প্রতিযোগীতা সম্পন্ন উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে- শিক্ষক সমাবেশে এনামুল হক শামীম জেড. এইচ. সিকদার বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রর প্রভাব বিষয়ে সেমিনার নাগেরপাড়া সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধু নিহত
সারাদেশ আপডেট
আসন ভাগাভাগির বিষয় সমন্বয় হবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে : ওবায়দুল কাদের শরীয়তপুর-১ আসনে পুনরায় নৌকার মাঝি হলেন ইকবাল হোসেন অপু শামীম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় জনসাধারণের উচ্ছ্বাস শরীয়তপুরের তিনটি আসনে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন শামীম, অপু, নাহিম শরীয়তপুরের তিনটি আসনে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেলেন শামীম, অপু,নাহিম ভেদরগঞ্জ উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বরখাস্ত নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য বিএনপি’র প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর শরীয়তপুর-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ডা. হেলাল উদ্দিন সাবেক আইজিপি শহীদুলের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা

আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।  বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ডাক দেন।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭১-এর ৭ই মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন ইতিহাসে তার তুলনা খুঁজে পাওয়া যায় না। বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে থাকার ইতিহাসের ধারাবাহিকতাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর চেতন এবং অবচেতনে এই ভাষণটি তৈরি হয়ে প্রকাশের জন্য উন্মুখ হয়েছিল।

দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে এবং সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

‘একটি কবিতা পড়া হবে তার জন্য কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের’—৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে এমনটাই লিখেছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। সারা বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা পাওয়ার প্রতীক্ষায় উদগ্রীব সেদিন। সবার দৃষ্টি রেসকোর্সের দিকে। মনে প্রশ্ন, ‘কখন আসবে কবি?’

সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি আর হাতকাটা কালো কোট পরে দৃঢ়তার সঙ্গে হেঁটে এসে মঞ্চে উঠলেন দীর্ঘদেহী এক বাঙালি। সঙ্গে করে তিনি নিয়ে এসেছেন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির ভবিষ্যৎ, আত্মসম্মান ও অধিকার আদায়ের মন্ত্র। পুরো জাতি তার কথা শোনার প্রতীক্ষায় উদগ্রীব। সেই ভাষণ শুনতে ঢাকার প্রতিটি বাড়ির প্রতিটি ছেলে এসে উপস্থিত রেসকোর্স ময়দানে। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে ছিল সেই ভাষণের প্রতীক্ষায়। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের সেই ভাষণ শুধু বাংলার নয়, পৃথিবী জুড়ে মানবমুক্তির আন্দোলনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী উদাহরণ। আর বঙ্গবন্ধু মানুষের মুক্তির আন্দোলনের পথে চির প্রেরণার প্রতীকে পরিণত হন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই হয়ে ওঠেন জাতির জনক।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা ঘোষণা করেন—‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এর পরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এক ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়। স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর কাছে কোনো আকস্মিক বিষয় ছিল না, বরং ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনিবার্য জাতীয় স্বাধীনতার দিকে তিনি বাংলার জনগণকে প্রস্তুত করেছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্যে যেমন দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতার কথা অন্তর্ভুক্ত ছিল, তেমনি মানুষের সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণের আকাঙ্ক্ষাও ধারণ করেছে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীকালে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তার চশমাটা সেদিন ডায়াসের ওপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছিল। সে মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন, তিনি অন্তরের গভীরে যা বিশ্বাস করতেন, বক্তৃতায় তা-ই ব্যক্ত করতেন। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি তা থেকে বিচ্যুত হননি।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

আরো সংবাদ পড়ুন
সম্পাদক :
আনোয়ার হোসেন (বাবু সিকদার)
ফোনঃ 01756054201, 01778862004
ইমেইল: ‍shikdarbabu088@gmail.com
Copyright © শরীয়তপুর পত্রিকা ২০২২
ডিজাইন এবং প্রযুক্তি সহায়তায়: Diggil Agency