ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা বিসিক কর্মকর্তা
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) প্লটের খাত পরিবর্তন করার জন্য ঘুষ গ্রহণকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাতানো ফাঁদে আটক হয়েছেন শরীয়তপুর বিসিকের এক কর্মকর্তা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শহরের প্রেমতলা এলাকার বিসিক শরীয়তপুর কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপকের কক্ষ থেকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করা হয় তাকে। আটক মোহাম্মদ মনির হোসেন শরীয়তপুর বিসিক কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক।
মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমান কালবেলাকে জানান, শরীয়তপুর বিসিক শিল্প নগরীতে মেসার্স ঢালী মিনারেল ওয়াটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে তার। তিনি ওই প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য অফিস নির্ধারিত ফরমে গত ২৩ মার্চ আবেদন করেন। পরিবর্তিত নাম করা হবে ‘বাংলাদেশ হারবাল অ্যান্ড স্পাইসেস প্রডাকশন’। কিন্তু নাম পরিবর্তনের জন্য শরীয়তপুর বিসিক কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেন সেই আবেদনটি প্রধান কার্যালয় পাঠানোর খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তিনি ওই আবেদনে স্বাক্ষর করবেন না। সম্প্রতি প্রাথমিকভাবে ৪৭ হাজার টাকাও দেন তাকে। পরবর্তীতে আরও ৫০ হাজার টাকার চাপ দেন মনির।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান এসকান্দার ঢালী বিষয়টি মাদারীপুর সমন্বিত দুদক কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানান। আজ উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনির হোসেনের চাহিদা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকাসহ বিসিক শিল্প নগরীর অফিসে যান এসকান্দার। উপব্যবস্থাপক সেই টাকা নিয়ে তার টেবিলের ড্রয়ারে রাখার সময় ঘটনাস্থলে দুদক প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয় এবং ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে আটক করা হয় মনির হোসেনকে।
এ সময় আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপসহকারী পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সেন, সাইদুর রহমান অপু, নাহিদ ইমরান, রুবেল হোসেন, তাহিদুল ইসলাম ও পালং মডেল থানার এসআই মাহমুদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত