“জেলাপ্রশাসক শিক্ষা পদক” ২০২২ পেলেন জাজিরা মোহর আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ আলী

1 min read
অনলাইন//  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাথে জেলাপ্রশাসকের ৩ বছর মেয়াদী কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেলাপ্রশাসন শরীয়তপুর ২০২১ সাল হতে চালু করেছে “জেলাপ্রশাসক শিক্ষা পদক”। তারই অংশ হিসেবে আজ ২১ মে ২০২৩ তারিখে জেলাপ্রশাসক শিক্ষা পদক-২০২২ প্রদান করা হয়েছে জনাব মোহাম্মদ আলী, এলটি, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউটস, শরীয়তপুরকে ।
পদ্মা ও মেঘনা নদী বিধৌত উর্বরভূমি আমাদের এই শরীয়তপুর জেলা। শিক্ষা,সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ সহ নানাধরণের সামাজিক উন্নয়নে অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজ করেন। এ সকল কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হলে উৎসাহ পাবে সেই সকল বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিগণ। সেই চিন্তা থেকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার প্রসার এবং মানোন্নয়নে যারা কাজ করে মূলত তাদেরই এ পদক প্রদান করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজিক কুসংস্কার দূরকরণ, সমাজ সংস্কার এ যারা ভূমিকা রাখেন তাদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ এ পদকে ভূষিত করা হয়।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ফেসবুক সুত্র জানা যায়, জনাব মোহাম্মদ আলী, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউট, শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার বিস্তার এবং স্কাউটিং আন্দোলনে একজন অগ্রগন্য ব্যক্তি। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরায় ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জাজিরা মোহর আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭৮ সালে বেসিক স্কাউট লিডার বেসিক কোর্সে অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে তিনি স্কাউট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কাউটস, জাজিরা উপজেলার সম্পাদক এবং ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কাউটস শরীয়তপুর জেলার কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কাউটিং এ ধারাবাহিক অবদান রাখায় ইতোপূর্বে তিনি “ন্যাশনাল সার্টিফিকেট এ্যাওয়ার্ড”, “মেডেল অব মেরিট”, “লং সার্ভিস এ্যাওয়ার্ড” অর্জন করেন।
২০২১ সালে শরীয়তপুর জেলা হতে বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ এওয়ার্ড ” রৌপ্য ব্যাঘ্র ” পদকে ভূষিত হন।
স্কাউটিং এ তাঁর এ অসামান্য অর্জন শরীয়তপুর জেলায় স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কাউটস কার্যক্রমকে আরোও উৎসাহিত করবে। তাদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব আরও বিস্তৃত হবে।
‘জেলাপ্রশাসক শিক্ষা পদক’ সম্পর্কে জেলাপ্রশাসক জনাব মোঃ পারভেজ হাসান বলেন” একটি জ্ঞানভিক্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সংস্কৃতি, সাহিত্য সহ সমাজকে আলোকিত করতে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে নানাবিধ অবদান রেখে চলেছেন। সেই সকল মহতী উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে জেলা প্রশাসনের ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ। জেলাপ্রশাসনের উদ্যোগে জেলাপ্রশাসক শিক্ষা পদক প্রতিবছর প্রদান করা হবে”।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.