জাজিরায় শাবল দিয়ে আঘাত করে তানিয়া আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের সরদারকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তানিয়ার স্বামী জসিম হাওলাদারকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। জসিম সরদারকান্দি এলাকার কৃষক হামেদ হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৬ বছর আগে তানিয়ার সঙ্গে মালয়েশিয়াপ্রবাসী জসিম হাওলাদারের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুই ছেলে। সম্প্রতি জসিম মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসার পর তাঁদের দাম্পত্য কলহ বাড়ে। ঈদ উদ্যাপনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার জসিম তাঁর স্ত্রী তানিয়াকে বাবার বাড়ি থেকে কিছু টাকা আনতে বলেন। এই টাকা চাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গতকাল রাতে একদফা ঝগড়া হয়। বুধবার সকালেও এই টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের মধ্যে থাকা একটি শাবল দিয়ে তানিয়ার মাথায় আঘাত করেন জসিম। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে ঘরেই তানিয়ার মৃত্যু হয়।
জাজিরা থানার ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জসিম তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খবর পেয়ে পুলিশ তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জসিমকে আটক করে। তবে জসিমের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
নিহত তানিয়ার বাবা শাহরিয়ার জামান বলেন, ‘গতকাল মেয়ে (তানিয়া) আমার বাড়িতে আসে। আমাকে বলে, জসিম ৮ হাজার টাকা দিতে বলেছে। পরে আমি ৮ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই। রাতে দরজা বন্ধ করে জসিম ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে মারধর করে। আজ দুপুরে জসিম আমার মেয়েকে শাবল দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ লাশের সুরতহাল করেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জসিম তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত