জামিন পাওয়া ব্যক্তি ও স্বজনদের নির্যাতনে হাইকোর্টের অসন্তোষ
অনলাইন// হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়া কয়েকজন আসামি ও তাদের স্বজনদের নির্যাতন করে পাঁচটি চেকের মাধ্যমে ৭২ লাখ টাকা আদায় ও দু’টি দোকান লিখে নেয়ার ঘটনায় শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজিএম) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পরবর্তী শুনানির দিন উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিকালে আদালত জামিন পাওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদনের ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল মনির ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন আদালত। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মুনজুরুল হক। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান মিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। ওই আসামিদের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপনের পর এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৩ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়ে ওই দিন আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান বলেন, একটি ছিনতাই মামলার আসামিদের শারীরিক নির্যাতন করে আহত করার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) রাসেল মনির ও সদ্য প্রত্যাহার হওয়া পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানসহ চারজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
একই সাথে উচ্চ আদালতের জামিনাদেশ থাকার পরও আসামিদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করা হয়। ১৬ জুলাই তাদের সশীররে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও শরীয়তপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) এ বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত