নড়িয়ায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিনিধি// নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত “সামাজিক কর্মকাণ্ড ও স্বেচ্ছাসেবামুলক কাজে যুবদের ভুমিকা “শীর্ষক ১দিনের জন সচেতনতা মুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শংকর চন্দ্র বৈদ্য,সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ গোলাম ফারুক,সহকারি পরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর শরীয়তপুর। সভাপতিত্ব করেন মোসাঃ নুরুন্নাহার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা,নড়িয়া।উপস্থিত ছিলেন সহকর্মী ইব্রাহিম দিপু,সহকারী উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা নড়িয়া এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলাম আমি মোঃ ফিরোজ ভুইয়া সহাকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা,নড়িয়া। স্বাগত বক্তব্যে মোসাঃ নুরুন্নাহার যুবদের উদ্দেশ্য বলেন, যুবদের উপরই নির্ভর করে জাতির ভবিষ্যৎ। তাই যুবদেরকে পড়াশুনার পাশাপাশি জাতি গঠনে আত্ম নিয়োগ করতে হবে। যুবদেরকে বিভিন্ন কারিগরী প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং চাকরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে। চাকরি নেয়া নয় চাকরি দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ অতিথি সহকারী পরিচালক মোঃগোলাম ফারুক বলেন যুব সমাজ আজ ধীরে ধীরে মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়তেছে। যুবদেরকে এই মরন ফাঁদ থেকে রক্ষা করতে হবে। এবং এই জন্য অভিভাবকদেরকে সচেতন হতে হবে। এবং বিভিন্ন যুব সংগঠন তৈরি করে তাদেরকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাথে সেতুবন্ধন তৈরী করতে হবে। যে কোন প্রকৃতিক দুর্যোগে যুবরা স্বেচ্ছা সেবক টিম গঠন করে তার মোকাবেলা করতে পারে।যুব সংগঠন করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মোটিভেশন প্রশিক্ষণ, ও ঋণ নিয়ে কাজে আত্ম নিয়োগের মাধ্যমেই তাদের ভাগ্যোন্নয়ন সম্ভব। প্রধান অতিথির ভাষনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, যুব সমাজকে মাদক থেকে রক্ষা করার জন্য অভিভাবকদের ভুমিকা সর্বাধিক। সন্তান কোথায় যায়,কার সাথে মিশে কখন বাড়ি ফিরে এই বিষয়টি অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। ইভটিজিং মাদক সেবন, কিশোর গ্যাং এসবে যাতে না জড়িয়ে পড়তে পারে সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে।যুবদের বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবা মুলক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। করোনা মহা মারিতে যুবরা মাক্স বিতরন সহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ গুলো করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যুবদের অনেক ভুমিকা রয়েছে।মশক নিধন,ঔষধ ছিটানো,কচুরিপানা পরিস্কার,ডোবা নালা পরিস্কার, রোগীদের কে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ ইত্যাদি কাজ গুলো একমাত্র যুবদের দিয়েই সম্ভব।প্রধান অতিথি আরও বলেন, যুবরাই দেশের প্রাণ শক্তি। সমাজে যৌতুকের বিরুদ্ধে তাদেরই ভুমিকা রাখতে হবে।”যৌতুক দিবনা নিবো ও না”এই স্লোগান যুবদেরই বাস্তবায়ন করতে হবে। বাল্য বিবাহের ব্যাপারেও যুব এবং যুব নারীদের সচেতন থাকতে হবে। পূর্ণ বয়স না হতে বিয়ের পিড়িতে না বসার ব্যাপারে যুবদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় ও যুবদের কাজ করে যেতে হবে বলে তিঁনি তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন। অবশেষে বিভিন্ন ট্রেডে যুবদের মাঝে ২৬০০০০/টাকার যুবঋণের চেক বিতণের মধ্য দিয়ে অনষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত