মালয়েশিয়া গিয়ে দেড় মাসেই লাশ হয়ে ফিরলেন ডামুড্যার শাওন
অনলাইন// শাওন মুন্সি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের আনন্দবাজার গ্রামের আহম্মেদ উল্লাহ মুন্সী ও পারভীন বেগম দম্পত্তির ছেলে। তারা দুই ভাই এক বোন। মাত্র দেড়মাস আগে মালয়েশিয়াতে গিয়েছিলেন শাওন মুন্সি। কাজের সময় পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রাক এসে তাকে চাপা দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। ঋণ করে অসুস্থ মা বাবাকে রেখে বিদেশ গিয়েছিল সে। একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে তার পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার তার মরদেহ বাংলাদেশে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছে পরিবার।
শাওনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শাওনের বাবা প্রায় বছর ধরে অসুস্থ অবস্থায় ঘরেই থাকেন। মা বাবাসহ ভাই বোনদের একটু সুখে রাখার জন্য ঋণ করে শাওন অল্প বয়সে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু নিজ কোম্পানির মালবাহী ট্রাকেরচাপায় পড়ে শাওন মারা যান। ৮ দিন পর বৃহস্পতিবার মরদেহ দেশে এসেছে।
শাওনের ফুফাত ভাই শাহিন আলম বলেন, ছোটবেলা থেকেই শাওন সংসারের হাল ধরতে কাজকর্ম করে। বিদেশে গেলে একটু বেশি আয় হবে, মা বাবাকে সুখে রাখতে পারবে। এই আশায় বিদেশে গিয়ে আমার ভাইটা গাড়ির চাপায় পড়ে মারা গেল। ওর কোম্পানি থেকে এখনও কোনো সহযোগিতা পাইনি।
শাওনের বোন মোসা. ভাবনা বলেন, প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণ করে আমার ভাই বিদেশে গিয়েছিল। ট্রাকচাপায় সে মারা গেছে। আমার ভাই আর নেই। এখন কে আমার বাবার ওষুধ কিনতে টাকা দিবে?
কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্চু বলেন, শাওন বিদেশে মারা গিয়েছিল এক সপ্তাহ আগে। আজকে মরদেহ আনা হয়েছে। বিদেশে ট্রাকচাপায় মারা যাওয়া আসলেই মর্মান্তিক। ওর বাবা অসুস্থ। যে কোনো প্রয়োজনে শাওনের পরিবারের পাশে ইউনিয়ন পরিষদ থাকবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত