‘দর্শক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হই বলে তারাও হল বিমুখ হয়েছে’- ইলিয়াস কাঞ্চন
1 min readবিনোদন ডেস্ক// দর্শকদের আবার হলমুখী করতে ‘গল্প ও চিত্রনাট্য’ নিয়ে গবেষণা করে ছবি বানাতে হবে বলে মনে করেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ক্রাইসিস চলছে। পাশাপাশি সমাজে দুর্নীতি বিরাজমান। রাজনীতি ও দুর্নীতি মিলিয়ে যদি ছবি বানানো যায় তাহলে দর্শক অবশ্যই দেখবে। এসব নিয়ে গবেষণা করে ছবি বানাতে হবে। দর্শক চাহিদা গুরুত্ব দিতে হবে।’
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘ক্রিয়েটিভ মিডিয়া ভিশন’ নামে একটি প্রোডাকশন হাউজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘রাজনীতির দিকে মানুষের চাহিদা আছে। এর ক্রাইসিস মানুষ পূরণ করতে পারছে না। এসব দিয়ে মানুষের মনের আশা পূরণ করে চলচ্চিত্র বানালে মানুষ দেখবে।’
‘রাজনীতি ও দুর্নীতিকে উপজীব্য করে চলচ্চিত্র বানালে সেই চলচ্চিত্র চলতে বাধ্য’ উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘অবশ্যই এসব ছবি মানুষ পছন্দ করবে। দর্শকদের চাহিদা এখন এসবে। তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হই বলে তারাও হল বিমুখ হয়েছে। যারা ছবি বানায় তাদের স্টাডি করা উচিত মানুষ কী চাচ্ছে!’
মানুষের চাওয়া প্রাধান্য দিয়ে চলচ্চিত্র বানালে চলচ্চিত্রের আবেদন কোনোদিন ফুরাবে না বলে মনে করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘটনায় ভুক্তভোগী হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভুগছে সমাজের দুর্নীতিতে। এই দুর্নীতি তুলে এনে প্রতিকারগুলো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে হবে। সরকারি একজন বড় আমলা আমাকে বলেছেন, এদেশে ১৮ কোটি মানুষ বাস করে। এর মধ্যে যদি ৩-৪কোটি মানুষকে চলচ্চিত্র দেখানো যায় তাহলে চলচ্চিত্র লোকসান করার কোনো জায়গা থাকবে না।’
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, লন্ডন আমেরিকায় গেলে সবাই ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু আমি আগে গিয়ে সিনেমা দেখি। আমাদের সিনেমার এই খারাপ অবস্থায় আমরা সকলেই দায়ী। ভুল করেছিলাম সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। তবে পাইরেসি যখন এসেছিল তখনকার সরকার আমাদের সাহায্য করলে আজ এই দিন আসতো না।’
শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার ‘চাকর’ ছবি দেখে একজন চিঠিতে লিখেছিল, ”আমি বেকার ছিলাম। হতাশায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। পরে আপনার ‘চাকর’ ছবি দেখে উৎসাহ পেয়েছিলাম। ছবিতে আপনি চাকরের ছেলে হয়ে কষ্ট করে নিজেকে উপরে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। তখন আমিও জেদ করে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরাই।”
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, তিনি তার কাজে সাফল্য পেয়ে পরে চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠিটা বহুদিন গোছানো ছিল। ছবি বানালে এমন ছবি বানাতে হবে। ‘জীবন থেকে নেয়া’ দেখে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে যেতে উৎসাহিত হয়েছিল। বিনোদনের পাশাপাশি ছবিতে এখন বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যারা মাদক নেয় তাদের সেখান থেকে বের করে আনার জন্য ছবি বানাতে হবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত