আশ্রয়ণের অধিবাসীরা শুধু মাথা গুজার ঠাই নয়, জীবন ও জীবীকার অবলম্বন খুজে পেয়েছেন তারা
1 min readশরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণ করা যুগান্তকারী পদক্ষেপের একটি। এ প্রকল্পটি বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে আলোচিত বিষয়। আশ্রয়ণের অধিবাসীরা সেখানে শুধু মাথা গুজার ঠাই নয়, জীবন ও জীবীকার অবলম্বন খুজে পেয়েছে। তিনি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএম খালী আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে সেখানকার অধিবাসীদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন আমাদের শরীয়তপুর জেলার প্রতিটি আশ্রয়ণ কেন্দ্রই যেন এক একটি সুখি মহল্লা। তেমনি একটি পল্লী ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানাধীন দৃষ্টিনন্দন ডিএমখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প। যেখানে ৩০টি পরিবারের বসবাস।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেল, সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১নং ঘরেবসবাস করেন বৃদ্ধা মনোয়ারা। একমাত্র মেয়ের ঘরের নাতিকেপড়াশোনা করান তিনি মাদ্রাসায়। বৃদ্ধা মনোয়ারা আপন করেনিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণের ঘরটিকে। তারনিজ ঘরের সাথে নির্মাণ করেছেন ছোট্ট একটি দোকান। আশ্রয়ণেরবাসিন্দারা সহ আশে পাশের মানুষ এখন তার দোকানের ক্রেতা,সকলের অব্যাহত সহায়তায় বদলে গেছে তার অর্থনৈতিক অবস্থা।
মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি স্বপ্নেও ভাবিনী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে দিয়েছে। আমার মতো এমনভাবেই বদলে যাচ্ছে হাজারো ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জীবন কাহিনী। আর তার নেপথ্যে রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন। তিনি জানান, আমাদের আশ্রয়ণে অধিবাসীরা সবজি চাষ, গবাদিপশু পালন ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য বদল করে নিচ্ছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ উদ্যোগ, অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল। এ আওতায় আমরা আমাদের উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ৩ ধাপে মোট ৬২৫টি আশ্রয়হীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিতে সক্ষম হয়েছি। পরিদর্শন ও মতবিনিময় কালে জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান ছারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিউল মাজলুবিন রহমান, ডিএম খালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত