সেতুর ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

জুন জুলাই মধ্যে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দিবে চলতি মাসেই কার্পেটিংয়ের শেষ লেয়ারের কাজ সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে গ্যাসলাইন স্থাপন। ল্যাম্পপোস্টের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। আর সেতুর শেষ ধাপের অ্যালুমনিয়ামের রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। সেতুটি যান চলাচল উপযোগী করতে চলছে ব্যস্ততা।

সেতুর কার্পেটিং শেষ পর্যায়ে এখন। ওয়াটার প্রুভিং চারটি লেয়ারের পর দেওয়া হচ্ছে দুই লেয়ারের ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের বিশ্বমানের কার্পেটিং। এর অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। চলতি মাসেই কার্পেটিং শেষ হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

আর মূল সেতুর দুই পাশের সংযোগ সেতুর সব ল্যাম্পপোস্ট বসে গেছে। মূল সেতুতে বাকি ৩৫টি। ল্যাম্পপোস্টের কাজের অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ আর মূল সেতুর অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ।

এদিকে বিমানে উড়িয়ে যুক্তরাজ্য থেকে সেতুর অ্যালুমনিয়ামের ২০৪ মিটার রেলিং প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে গেছে। বাকি রেলিংগুলো সমুদ্রপথে যুক্তরাজ্য থেকে ২৬ মার্চ রওনা হয়েছে। ১৫ মে দেশে পৌঁছার কথা রয়েছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, প্যারপেট ওয়ালের নাট সিস্টেমের এই রেলিং লাগাতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ লাগবে।

জুনেই সেতুতে যান চলাচল উপযোগী করতে শেষ পর্যায়ের কাজ সফলভাবেই এগোচ্ছে বলে জানালেন এই মহাযজ্ঞের বাস্তবের মূল কারিগর মো. শফিকুল ইসলাম। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যান চলাচলের উপযোগী করতে পারব। তবে কিছু শেষ হতে একটু দেরি হবে। কিন্তু এর জন্য যান চলাচলে বাধা হবে না।’

পরিকল্পনা অনুযায়ী পদ্মা সেতু রাতে জ্বলে উঠবে। ছড়াবে রঙিন আলোর ছটা। চোখ ধাঁধানো এই আলো শুধু পদ্মাপাড়ের মানুষকেই নয়, আকৃষ্ট করবে পর্যটকদেরও। সেতুর নানা বৈচিত্র্যতার এটি অন্যতম আকর্ষণ।

তবে আর্কিটেকচারাল লাইটিংয়ের কাজ জুনে সড়কপথ উদ্বোধনের পরই শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.