ব্রীজ ভেঙ্গে উধাও ঠিকাদার নাই কোন যাতায়াত ব্যবস্থা ভোগান্তিতে ৪ গ্রামের জনগন
1 min readভেদরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে একটি পুরাতন ব্রীজ ভেঙ্গে ঠিকাদার উধাও হয়ে গেছে। তালিক্কা কান্দি খালের উপর একটি নতুন ব্রীজ নির্মানের টেন্ডার হলেও দীর্ঘ সময় ধরে কোন প্রকার উদ্যোগ নেই ঠিক এলজিইডি কিংবা ঠিকাদারের। এছাড়া পুরাতন ব্রীজ ভাঙ্গা হলেও করা হয়নি বিকল্প কোন যাতায়াত ব্যবস্থা। ফলে বর্ষার পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নটির তালিক্কা কান্দি, বাহাউদ্দিন মুন্সির কান্দি সহ ৪টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
ভেদরগঞ্জ এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সখিপুর ইউনিয়নের তালিক্কা কান্দি খালের উপরের পুরাতন ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করতো। কিছুদিন আগে ঐ স্থানে একটি নতুন ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ৩৬ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটির ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা। মেসার্স কেকে এন্টারপ্রাইজ এন্ড মিজান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি জয়েন্ট প্রতিষ্ঠান ব্রীজটি নির্মানের দায়িত্ব পায়। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ব্রীজটি নির্মানের কথা রয়েছে। কিন্তু ইমন নামে এক উপ-ঠিকাদার ঐ ব্রীজটি সম্পন্নের দায়িত্ব নেয়।
আর বর্ষার পূর্ব মহুর্তে বিকল্প কোন যাতায়াত ব্যবস্থা না করেই পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলেছে ঐ উপ-ঠিকাদার। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঐ এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, শিশু, ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় হাজার হাজার জনসাধারণ।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন মিয়া বলেন, হঠাৎ করেই পুরাতন ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার জনগনের চলাচলের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা বা পুল করা হয়নি। বর্ষার কারনে আমাদের এলাকার হাজার হাজার লোক ভোগান্তিতে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কোন পদক্ষেপ নাই।
আবুল কালাম হোসেন বলেন, ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলায় ছোট নৌকা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা পারাপার হচ্ছে। যেকোন সময় বড় দুুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ কেন ব্রীজটি ভাংতে দিলো এলজিইডি।
সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে বার বার বলা হয়েছে যাতায়াতের জন্য একটি বিকল্প ব্যবস্থা করতে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, ঠিকাদার যদি না করে তবে আমরাই নিজস্ব উদ্যোগে একটি ব্যবস্থা করে দিবো।
এ বিষয়ে উপ-ঠিকাদার ইমন বলেন, ঐখানে কাজ চলমান আছে। আপনি আমাকে পরে ফোন দিয়েন আপনার সাথে কথা বলবো।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী বলেন, জনগনের যাতায়াতের জন্য ঐ ঠিকাদারকে বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত