জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬

1 min read

ডেস্ক রিপোর্ট// শরীয়তপুর জেলা শহরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। কলেজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। এ সময় একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি চাপাতি জব্দ করে পুলিশ।

কলেজ সূত্র জানায়, বুধবার একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম ক্লাসের দিন। তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচিতিমূলক ক্লাস করছিলেন শিক্ষকেরা। তখন ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। দুই পক্ষই চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, হাসিবুর রহমান,স্বরন, স্নাতক পাস কোর্সের শিক্ষার্থী কাজী সুজন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজ আহত হয়েছেন।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, গত বছর মে মাসে ছাত্রলীগের নেতারা এক শিক্ষককে মারধর করেন। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করে। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর নতুন কমিটিতে স্থান পেতে বিরোধে জড়ায় দুই পক্ষ। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর এবং আরেক পক্ষকে নেতৃত্ব আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান।

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজন কলেজে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা করছিলেন। ছাত্রলীগের ছেলেরা তাঁদের ধাওয়া করেছেন। তখন নিজেদের মধ্যে কিছু ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান বলেন, ছাত্রলীগে কোনো গ্রুপিং নেই। কলেজের ঘটনায় বিএনপির লোকজন ও কিছু বহিরাগত জড়িত। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা মার খেয়েছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘একাদশ শ্রেণির ওরিয়েন্টেশন ক্লাস চলছিল। তখন ছাত্রলীগের ছেলেরা ক্যাম্পাসের বাইরে মারামারিতে জড়ান। এমন ঘটনা কেন ঘটানো হলো, তা খতিয়ে দেখা হবে। এর সঙ্গে কোনো ছাত্র জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলেজে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নেতাদের ডেকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ বিশৃঙ্খলা না করেন।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.