লন্ডন প্রবাসী সৌমেন দত্ত, উষা রানী দও জমি রেজিষ্টি বায়নার টাকা নিয়ে উঠাও
1 min readডেস্ক রিপোর্টঃ
বায়না রেজিষ্ট্রি করে বিপাকে পড়েছেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেজমিলার মহিষার ইউনিয়নের দিদারুল ইসলাম খান। তার কাছ থেকে জমি বায়না রেজিষ্ট্রি করে প্রায় দশ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন মহিষার ইউনিয়নের (১) ঊষারানী দত্ত (৬৮), স্বামী- মৃত গনপতি দত্ত, ছেলে সৌমেন দত্ত (৩৮), পিতা- মৃত গনপতি দত্ত, উভয় সাং- সাজনপুর, মহিষার ইউনিয়ন ভেদরগঞ্জ, স্থানীয় মোঃ মকবুল হোসেন, মাঝি (৪৬), পিতা- মৃত হানিফ আলী মাঝি, সাং- পুটিজুরী। চক্রের কু-পরামর্শে সহযোগিতায় মা ও ছেলে পালিয়ে যান। জমি বায়না রেজিস্ট্রি প্রতারণার শিকার হয়ে এ ব্যাপারে শরীয়তপুর বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিঃ আমলী আদালত, শরীয়তপুর মামলা দায়ের করেন দিদারুল ইসলাম খান। সূত্র: সি, আর/২০২৩ (ভেদরগঞ্জ), মোকদ্দমার ধারা: ৪০৬/৪২০/১০৯ দঃ বিধি, তারিখ: ১৮/০৪/২০২৩ ইং ।
এ বিষয়ে জমি ক্রেতা দিদারুল ইসলাম খাঁন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ২২-০২-২০১৬ ইং তারিখে রেজিস্ট্রী ১০০৪/২০২৩ নং দলিল মুলে আমার বসত বাড়ীর একই সিমানায় বিবাদী ১। ঊষা রানী দত্ত, স্বামী- মৃত গনপতি দত্ত ২১নং শাজানপুর মৌজা সর্বমোট- ২১.২৫ শতাংশ ভূমি বাবদ ৩৭,৭৫,০০০/- টাকা মূল্য নির্ধারণ করিয়া নগদ ৯,০০,০০০/- টাকা এবং আন রেজিস্ট্রী বায়নাপত্রে ২। বিবাদী সৌমেন দত্তের পক্ষে তার মা ঊষা রানী দত্ত,সৌমেন দত্ত বিদেশ থাকার কারণে ফোনে অনুমতি নিয়ে বাড়ী ও পুকুর মিলে ২১.২৫ শতাংশ ৩৭,৭৫,০০০/- টাকা মূল্য নির্ধারণ করিয়া নগদ ১,০০,০০০/- টাকা ছেলের বাবদ গ্রহন করিয়া সর্ব মোট ১০,০০,০০০/- টাকা(১৬/০২/২০২৩) ইং তারিখে গ্রহন করিয়া বায়নাপত্র সম্পাদন করেন।
ঊষা রানীর ছেলে সৌমেন দত্ত আমার সাথে বিদেশে থেকে যোগাযোগ করে বলে যে টাকা পয়সা জুগাড় করে রাখেন আমি দেশে ০৫/০৪/২০১৩ ইং তারিখে আসার পর রেজিস্ট্রী করিয়া দিব। কিন্তু সৌমেন দত্ত দেশে আসিয়া আমার সাথে যোগাযোগ না করিয়া বিভিন্ন দপ্তরে টাকা এবং রেজিস্ট্রী বায়নাকে অস্বীকার করিয়া বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অফিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী পুলিশ সুপার তাদের দপ্তরে ১৩/০৪/২০১৩ ইং তারিখে বাদী বিবাদী উভয়কে ডাকিয়া কাগজ পত্র এবং আমাদের বক্তব্য শুনেন। এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহিষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ অরুন হাওলাদার এবং মোঃ মকবুল হোসেন মাঝি, সাজনপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও আরো গন্যমান্যদের উপস্থিতে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সকলের সামনে বিবাদী সৌমেন দত্ত ও ঊষা রানী দত্ত এই মর্মে অঙ্গিকার করেন যে ১৬/০৪/২০২৩ ইং তারিখে জমি রেজিস্ট্রী করিয়া দিবে।
বাদী সৌমেন দত্ত ও তার মা ঊষা রানী দত্ত কে একাধিক ভাবে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
ভেদরগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিক্রেতাগণ ১৬/০৪/২০২৩ইং তারিখ দলিল করার জন্য যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন তা আমাকে বুঝিয়ে দেন। আমি ভেদরগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে কমিশন দলিল করার জন্য আবেদন করে কমিশন দলিল প্রন্তত করি, আমি সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে থাকা অবস্থায় বিক্রেতাগণকে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করি। তখন বিক্রেতাগণ আমাকে বলেন আপনি কাগজপত্র তৈরি করেন আমরা আসতেছি। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পার হওয়ার পর যখন বিক্রেতাগণকে আমি ফোন দেই তখন তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাই। পরে জানতে পারি তারা বায়না রেজিষ্ট্রি করার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
মহিষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: অরুণ হাওলাদার বলেন, ক্রেতার রেজিষ্ট্রি বায়না সঠিক আছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী বিক্রেতা ক্রেতাকে জমি দলিল করে দিবে।
ভেদেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে উপস্থিত সাক্ষীর সামনে উষা রানীর ২১.২৫ মোট জমির মূল্য ৩৭.৭৫০০০ টাকার নয় লক্ষ টাকা নেওয়ার পর বাকী আরো ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরিশোধযোগ্য বাদীর মাতা উষা রানী জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন ইহা অঙ্গীকার করার বিষয়টি সুরাহা করা হয়।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত