জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবস্টেশন ডিজাইনের উপর সেমিস্টার অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি// ২২ সেপ্টেম্বর জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসিক কনসেপ্টু অব সাবস্টেশন ডিজাইনের উপর সেমিস্টার অনুষ্ঠিত হয়। জেড. এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জেডএইচসাস্ট ইইই ক্লাব এর উদ্যোগে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনার আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য হলো এ বিভাগের যে সকল শিক্ষার্থীগণ দেশের বিভিন্ন সাবস্টেশনে কর্মরত রয়েছেন তাদের বাস্তব অর্জিত অভিজ্ঞতাগুলো বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে বিনিময় করা । সেমিনারে এ বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীগন অনলাইনের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, বর্তমানে তিনি বেসিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
বৈদ্যুতিক পাওয়ার পরিবহন ও বিতরণের ক্ষেত্রে সাবস্টেশনের গুরুত্ব আমাদের অনেকেরই জানা। বর্তমান যুগে অল্টারনেটিং কারেন্ট মানে এসি বিদ্যুত উৎপাদন করে পরিবহন ও বিতরণ করা হচ্ছে। উৎপাদন কেন্দ্র থেকে অনেক দুর অবস্থিত বাড়ী ঘর ও ইন্ডাসিট্রতে বিদ্যুৎ পৌছানোর কৌশলগত দিকগুলো পরিচয় করে দেয়া হয় সেমিনারের প্রথম পর্বে। সেই সাথে সাবস্টেশনের অনেক অনেক যন্ত্রপাতি যেমন বাসবার, সার্কিট ব্রেকার, লাইটনিং অ্যারেস্টার, আইসোলেটর, ট্রান্সফরমার, ইস্টুমেন্ট ট্রান্সফরমার, ইনসুলেটর, কন্ট্রোল প্যানেল, আর্থিং সিস্টেম, আগুন নেভানোর যন্ত্র, সার্জ অ্যাবজরবার, ক্যাবল এর মতো যন্ত্রগুলোর কাজ ও গঠণশৈলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার বিষয় ছিলো কোন শিল্প বা শিল্পগ্রুপ যদি নিজস্ব সাবস্টেশন স্থাপন করতে চায় সেটা কেমন হবে অথবা কিভাবে হবে।
কোন ইন্ড্রাস্ট্রি যদি তার প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতে চায় তাহলে তাদের নিজস্ব সাবস্টেশনের প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষেত্রে ইন্ড্রাস্ট্রি একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাথে তার প্রতিষ্ঠানে কত কিলোওয়াট লোড আছে সেই সম্পর্কে বলেন। পরে ইঞ্জিনিয়ার লোড অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য সাবস্টেশনের ডিজাইন করেন। এই ডিজাইন করতে দিয়ে সাবস্টেশনের যন্ত্রপাতি কত মানের প্রয়োজন তার জন্য কি কি সূত্র প্রয়োজন সেই বিষয় নিয়ে সেমিনারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বাস্তবক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সূত্রগুলো প্রয়োগ কিভাবে হয় তাও দেখানো হয়।
সবশেষে আলোচনা করা হয় কাগজে কলমের হিসাব শেষে সাবস্টেশনের একটি দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক রুপ কিভাবে দিতে হয় অটোক্যাডের মাধ্যমে। স্কেচআপ সফটওয়ারের মাধ্যমে কিভাবে একটি সাবস্টেশন এর ডিজাইন করা যায় তার একটি ধারণ দেয়া হয়। একটি সাবস্টেশনকে ডিজাইন করে তার বাহ্যিক রুপ পর্যবেক্ষন করার জন্য কোন সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে তা দেখানো হয়।
এ বিভাগের প্রভাষক মাজহারুল ইসলাম আজকের এ সেমিনার নিয়ে বলেন, আমাদের একজন এ্যালামনাই যেভাবে সেমিনার প্রেজেন্টেশন দিয়েছে তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। নিজের মধ্যে প্রশান্তি অনুভব করছি যে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কিছু দিতে পারছি। এ সেমিনারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার গণের বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা গুলো অনুজদের মাঝে বিনিময় হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সেমিনারের সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান সনেট কুমার সাহা । তিনি তার বক্তব্যে বলেন, কর্মজীবনে সফল হতে হলে পড়াশোনা ও দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী দেশের পাওয়ার সেক্টরে তাদের দক্ষতার প্রমান দিচ্ছে। দেশের পাওয়ার সেক্টরে অভিনব ভুমিকা রাখার জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে তোলছি।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত