শরীয়তপুর ডামুড্যায় প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষিত
শরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দক্ষিণপাড়া গ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবন্ধীর একই গ্রামের বাসিন্দা কাশেম কবিরাজের বিরুদ্ধে।
ধর্ষক কাশেম কবিরাজ (৬৫) এলাকার প্রভাশালী পরিবারের বাসিন্দা। অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করছেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ভুক্তভুগী পরিবার। ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা আমির হোসেন বেপারি (৮০) তিনি নিজেই শারিরীক প্রতিবন্ধী কোন কাজ কর্ম করতে পারে না। ওই কিশোরীর মা পাপিয়া বেগম (৫৫) সে ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তিনি বিভিন্ন গ্রামে ভিক্ষা করে তাদের পরিবারে ৩ জনের সংসার চালান।
স্থানীয় ও ভুক্তভুগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত (১২ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিকেল ৪ টায় কিশোরীর মা তার বাবাকে নিয়ে তাকে বাড়িতে একা রেখে বুড়িরহাট বাজারে ডাক্তারের কাছে যায়। বাড়িতে কিশোরী একা থাকায় সেই সুযোগে প্রতিবেশী কাশেম কবিরাজ সম্পর্কে চাচা হয় সে ঘরে ঢুকে তাকে জোর করে ধর্ষন করে। পরবর্তী কিশোরীর প্রতিবেশী এক চাচি হাওয়া বেগম কিশোরীর মাকে খুজতে আসলে দরজা ভিতর থেকে আটকানো দেখে দরজা ধাক্কা দিলে দরজা খুলে গেলে তাদের আপত্তিকর অবস্থা দেখে। ধর্ষক কাশেম কবারাজ তাকে দেখে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষক কাশেম কবিরাজ অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
ঘটনার স্থানে মান্নান বেপারীর স্ত্রী হাওয়া বেগম বলেন, আমি সুপারি আনতে ওদের বাসায় যাই ঘরের ভেতর থেকে দরজা আটকানো দেখে প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা পাপিয়াকে কয়েকবার আমি ডাক দিলে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দেই হঠাৎ দরজা খুলে যায় পরে ঘরের ভিতরে আমি গেলে প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীসহ কাশেম কবিরাজ কে আপত্তিকর অবস্থা আমি তাদের দেখতে পাই কাশেম আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবন্ধী মেয়েটির উপর এ ধরনের নির্যাতন এর উপযুক্ত বিচার শান্তির দাবি যানাই।
এলাকার বেশ কয়েকজন প্রতিবেশীরা আরও জানান, কাশেম কবিরাজ মানুষ রুপি একটা শয়তান। এই বুড়া বয়সে ও কি করে পারলো একটা প্রতিবন্ধীর সাথে এমন জঘন্য কাজ করতে। আমরা এর বিচার চাই।
এঘটনায় (১৪ সেপ্টেম্বর) ডামুড্যা থানায় ওই ধর্ষিত প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা পাপিয়া বাদী হয়ে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০৩ সংসধনীয় আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহম্মেদ বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয় আমরা একটি মামলা নিয়েছি। দোষীব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত