জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধনের সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে করনীয় বিষয় নিয়ে ভেদরগঞ্জে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
1 min readশরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম অব্যাহত, গতিশীল এবং দেশের নাগরিকদের জন্ম ও মৃত্যুর একটি স্থায়ী ডেটাবেজ সংরক্ষণে রাখার স্বার্থে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিদ্যমান জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধন করে রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক অফিস স্থাপন করা হয়েছে। পাসপোর্ট, বিবাহ নিবন্ধন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন। অথচ আমাদের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় জন্ম নিবন্ধন এতটাই ভুলে ভরা যে এখন কাজ করতে গিয়ে নাগরীকদের পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারে নতুন সিদ্ধান্ত ব্যতিত এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবগণ জানান। এ কারণে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের নানান প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মতো ঘটনার অভিযোগও রয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেরা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর সভাপতিত্বে এ সভায় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা সচিব এবং উদ্যোক্তাগণ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। বক্তব্য রাখেন, সচিব মোঃ লুৎফর রহমান, ফরিদ হোসেন, কামাল হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মেহেদী হাসান।
সভায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিবগণ জানান, পৃথিবীর উন্নত দেশে শিশুর জন্মের পরপরই জন্ম নিবন্ধন হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনব্যাপী এ ধরণের কোনো প্রচলন ছিল না। ২০০৪ সালে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের মাধ্যমে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টিহয়।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত