জাজিরার বিলাশপুর ইউনিয়নের সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ১১ ব্যক্তিদের ১৫ কারাদণ্ড

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাশপুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আটক ১১ ব্যক্তিকে কারাদণ্ড দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই ১১ ব্যক্তিকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেন।

ককটেল বিস্ফোরণে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া সুজন মাদবরকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ব্যাপারী ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী জলিল মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছে। তাঁদের মধ্যকার বিরোধের কারণে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

দুপুরের দিকে মুলাই ব্যাপারী কান্দি ও মেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দুই পক্ষ শতাধিক ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ ব্যক্তি আহত হন। ককটেল হামলায় মেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামের সুলতান মাদবরের ছেলে সুজন মাদবরের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থকে গতকাল রাতে তাঁকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে নেওয়া হয়।

সংঘর্ষের পর র‌্যাব ও পুলিশ নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালান ইউএনও কামরুল হাসান। সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযানে ১১ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিলাসপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে যে ১১ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল, তাঁদের ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আর কোনো মামলা হয়নি।

সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত

Copyright © All rights reserved. | Newsphere by AF themes.