ডামুড্যায় একই দিনে ৩ জনের মৃত্যু
1 min readশরীয়তপুর পত্রিকা প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় দারুল আমান ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ড বকুলতলা নামক স্থানে হাবিব বাবুর্চির শিশু কন্যা লামিয়া (৭) কে কোচ দিয়ে ফুঁপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ২০২২ কে বা কাহারা আনুমানিক রাত ৮ টায় শিশু কন্যা লামিয়া কে হত্যা করেছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বকুল তলার আমির খা-র কাঠ বাগানে। এ নিয়ে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে স্থানীয় জনগণ ডামুড্যা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডামুড্যা থানা পুলিশ ২ জনকে আটক করেন। অপরদিকে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের চর ভয়রা গ্রামে একটি হারানো শিশু পুকুরে পড়ে গেছে মনে করে ঐ এলাকার আবু কালাম নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে খোঁজ করার জন্য পুকুরে নেমে সেনিজেই লাশ হয়ে গেলেন।
শুধু তাই নয়, একই দিনে ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে বাবা-মার সাথে মান-অভিমান করে ময়না (১৫) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। লামিয়া হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে যখন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংবাদ কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা তৎপর ঠিক তখনই ঘটে গেল আরেকটি দুর্ঘটনা। উপজেলার ডামুড্যা পৌরসভায় ০৯নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ির জামাল আকন কে ধারালো বঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপ দেন মৃত রহমান ফকিরের ছেলে উজ্জ্বল ফকির। এ সময়ে জামাল আকন মারাত্মকভাবে জখম হন।
এরপর ঘটনা জানার জন্য স্থানীয় আনসার সদস্য নান্নু বেপারী যখন উজ্জলের কাছে বিষয়টি জানতে যান তখন তাকে ধারালো বঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে জখম করেন উজ্জ্বল ফকির। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোসাইরহাট সার্কেল মোঃ আবু সাঈদ ও ডামুড্যা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ এর বিচক্ষণতায় এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় উজ্জ্বল কে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ডামুড্যা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, প্রতিটি ঘটনাকেই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত